চট্টগ্রাম, ২৪ মে : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী বৌদ্ধ ঐক্য ফ্রন্ট’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির বর্ধিত সভা ও কাউন্সিল শুক্রবার ২৩ মে বান্দরবান সদরের নবোদয় সংঘ’র হল রুমে অনুষ্ঠিত হয়।
কাউন্সিলের মাধ্যমে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী বৌদ্ধ ঐক্য ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটিতে কাউন্সিলের মাধ্যমে লুসাই মং সভাপতি এবং রুবেল বড়ুয়া সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়। বর্ধিত সভার শুরুতে এক বর্ণাঢ্য র্যালী গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পদক্ষিণ করে। জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে সম্মেলন শুরু হয় এবং কাউন্সিলে নির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে শপথবাক্য পাঠ করানো হয়।
সংগঠনের সাবেক আহ্বায়ক লুসাই মং এর সভাপতিত্বে, সাচিং মারমা ও আনন্দ তঞ্চঙ্গ্যার যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্টানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. সুকোমল বড়ুয়া। প্রধান বক্তা বান্দরবান জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব জাবেদ রেজা। বিশেষ অতিথি বান্দরবান সদর বিএনপি সদস্য সচিব বাবু চনু মং। সংগঠনের সারসংক্ষেপ পাঠ করেন সাবেক সদস্য সচিব প্রকৌশলী দীপু বড়ুয়া এবং গঠনতন্ত্র পাঠ করেন সাবেক যুগ্ন সদস্য সচিব প্রীতম বড়ুয়া ডালিম। এতে আরো বক্তব্য প্রদান করেন সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক কমল জ্যোতি বড়ুয়া, মাও সেতুং তঞ্চঙ্গ্যা, মংসাচিং, নন্দন বড়ুয়া, মুই থুই অংসুজন বড়ুয়া, দিক্ষীত বড়ুয়া। উপস্থিত ছিলেন ডালিম বড়ুয়া, সজল বড়ুয়া, টিম প্রু হ্যাডম্যান, রাহুল চাকমা, নীরু বড়ুয়া, চয়ন বড়ুয়া, উজ্জল তঞ্চঙ্গ্যার, রাজিব বড়ুয়া, প্লাবন বড়ুয়া, মোহন বড়ুয়া, নিশাত বড়ুয়া, সুমন বড়ুয়া, জুয়েল বড়ুয়া, নথোই চিং মারমা, তাপস বড়ুয়া, সত্যজিত বড়ুয়া, রনি বড়ুয়া, কল্লোল বড়ুয়া, শোভন বড়ুয়া, সাথী বড়ুয়া, মিথুন বড়ুয়া, টুটুল বড়ুয়া প্রমুখ।
প্রধান অতিথি ড. সুকোমল বড়ুয়া বলেন, চট্টগ্রাম অঞ্চল হচ্ছে বৌদ্ধদের মূল বসবাসের জায়গা। আমরা চাই সকলেই রাষ্ট্রের সমান অধিকার ভোগ করবে আর বিএনপি সেটাতে বিশ্বাস করে। বিত্ত—বৈভব ও সম্পদ অর্জনের চাহিদা আমাদের চিত্তকে প্রতিমুহূর্তে ব্যাকুল করে তুলছে। দেশ সন্ত্রাস, দুর্নীতি, নৈরাজ্য ও অরাজকতায় ছেয়ে গেছে। তাই সমাজ ও দেশ হয়ে যাচ্ছে অশান্ত ও অস্থিতিশীল। আমরা চাই সব ধরনের যুদ্ধ—বিগ্রহ বন্ধ হোক, হিংসা—প্রতিহিংসার অবসান ঘটুক, দেশে শান্তি ফিরে আসুক। বিগত ১৭ বছর আওয়ামী দুঃশাসনে দেশকে গ্রাস করে ফেলেছিল। বর্তমান সময়টা জাতির জন্য সবচেয়ে সংকটময়। স্বৈরাচারের দোষরা এখন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। গত ১৭ বছরে কর্তৃত্ববাদী সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘন ও অন্যায়ের শিকার হয়েছে বিএনপিসহ দেশের মানুষ। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রাম শুধু বিএনপির জন্য নয়, এটা বাংলাদেশের জনগণের অধিকার আদায়ের আন্দোলন। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সব ধর্মের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। সব সম্প্রদায়ের মানুষকে নিয়ে দল মত নির্বিশেষে এক সুন্দর গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন দেশবাসী প্রত্যাশা করে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Suprobhat Michigan